সুপার টুয়েলভে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে হতাশাজনকভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। শুরু থেকেই বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের বডি ল্যাঙুয়েজ ছিলহেরে যাবার আগেই হার মেনেনেয়ার মত। বাংলাদেশের সেরাএকাদশ দেখে অনেকেই অবাকহন।
এর কারন ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থওপেনার লিটন দাশকে আবারও ইনিংস ওপেন করতে পাঠানো। প্রথম ওভারে দুটি চার মেরে শুরু করেছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারেই ইংল্যান্ডের মইন আলীর অনেকটা নির্বিষ স্পিনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে আসেন।
নাইম শেখ আগের ম্যাচে অর্ধশতক করেছিলেন। কিন্তু অধারাবাহিকতার স্বাক্ষর রেখে আজকে মাত্র ৫ রান করে তিনিও লিটনের পথ ধরেন। তাও মইন আলীর বলে! বাংলাদেশের সারা বছর স্পিনিং ট্রা্কেহা ই কোয়ালিটি স্পিনারদের বিপক্ষে খেলে বিশ্বকাপের আসরে মইন আলীর মত পার্টটাইম স্পিনারদের খেলতেই নাভিশ্বাস উঠে যায় বাংলাদেশের ব্যাটারদের।
উইকেট পড়ে গেলে একটু দেখেশুনে খেলতে হয়। কিন্তু সে অবস্থায় উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরে এলেন সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দলকে ভয়াবহ বিপদে ফেলে দিয়ে। পাওয়ারপ্লের মধ্যেই মাত্র ২৬ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট নেই বাংলাদেশের!
আগের ম্যাচের মতই ত্রাণকর্তা হয়ে এসেছিলেন মুশফিকুর রহিম। দেখে শুনে বলের মেরিট বিচার করে খেলছিলেন। স্কোরবোর্ডে রান নেই। উইকেটপড়ে গেছে ৩টি। এই অবস্থায় পরিস্থিতির বিচার অনুযায়ী ভালই খেলছিলেন মুশফিক।কিন্তু পার্টটাইম স্পিনার লিভিংস্টোনের উইকেট বরাবর একটি বল মিসকরে লেগ বিফোরের ফাঁদেপড়েন।
তিনটি চার মেরেছেন। ৩০ বলে ২৯রান টি-২০তে এমন কিছু নয়। তবুও মুশফিকের এই ইনিংসটিই বাংলাদেশ ইনিংসের টপ স্কোর!
আফিফ হোসেন এসে শুরু করেছিলেন নার্ভাসভাবে। একটি চার মেরেছেন। কিন্তু মাহমুদউল্লাহর একটি সিঙ্গেলসকে ডাবলসে রূপান্তর করতে গিয়ে রানআউটের খাড়ায় পড়েন।
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ উইকেটে আছেন। ১৫ ওভারের খেলাচ লছে। দলীয় রান তখন ৮০ পেরিয়েছে মাত্র। তাই লিভিংস্টোনকে তুলে মারতে গিয়ে মিস টাইমিংকরলেন। ওকসের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ২৪ বলে করেছেন মাত্র ১৯ রান।
মেহদী এবং নুরুল হাসান বাংলাদেশ দলের হার্ডহিটার কিংবা পাওয়ার হিটার ব্যাটার হিসাবেই পরিচিত। আজ সুযোগ এসেছিল নিজেদের মেলে ধরার। কোন চার কিংবা ছয় ছাড়াই ১৮ বলে ১৬ রান করেছেনসোহান। মেহদী দুটি চার মেরেছেন। কিন্তু রানের ঘরে ডাবল ডিজিটে পৌছেঁই প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
সোহান ছাড়া স্বীকৃত সব ব্যাটসম্যান আউট হয়ে ফিরে গেছেন। ১৯তম ওভারে ব্যাট করার সুযোগ পেলেন নাসুম। বোলার হিসাবেই যিনি একাদশে ঢুকেছেন।সেই ওভারেই মনে রাখার মতব্যাটিং পারফরমেন্স দেখালেন
নাসুম। দুটি ছক্কা। একটিচার। সে ওভারের আগে কিংবা পরে বাংলাদেশের আর কোন ব্যাটার ছক্কা মারতে পারেননি এই ম্যাচে!
তাই যা হবার তাই হল।বাংলাদশের দলীয় টোটাল দাঁড়াল১২৪। মিরপুরের উইকেট হলে না হয় একটু নড়েচড়ে বসার সুযোগ ছিল।কিন্তু শারজার ব্যাটিং সহায়ক পিচে এই রাননস্যি। তাও আবার পাওয়ারহিটার ব্যাটারদের দল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশের দেয়া টার্গেট ১২৪ রান ইংল্যান্ড পেরিয়েছে ১৪.১ ওভারে। দুই উইকেট হারিয়ে। খেলায় বাংলাদেশের প্রতিরোধ বলতে কিছুই ছিলনা। ইংল্যান্ডের জয়টা ছিল তাইশুধুই আনুষ্টানিকতা মাত্র।
আরও পড়ুন: ক্যাচ মিসের মাশুল: ভাল খেলেও হার বাংলাদেশের
আমাদের ফেসবুক পেজ